স্বদেশ ডেস্ক:
আগামী নির্বাচন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্যকে ‘খোঁড়া যুক্তি’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানে ছিল, জাতীয় স্বার্থে আওয়ামী লীগের উচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
গণতন্ত্রের মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নির্যাতন করা হচ্ছে, ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা টার্গেট হচ্ছে। ছাত্রীদের উপর অত্যাচার করছে ছাত্রলীগ। এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে আমরা কর্মসূচি দেব এবং ছাত্রদেরকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাব।’
এর আগে আওয়ামী লীগ বলেছে, খালেদা জিয়া রাজনীতি না কারার শর্তে মুচলেকা দিয়ে বের হয়েছে, এখন বলছে, তার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা হঠাৎ এ মন্তব্য কেন করছেন- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের এসব মন্তব্যে আমরা ইন্টারেস্টেড না। বিএনপি এ বিষয় নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন না। বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করে, রাজনীতির মাঠ থেকে নেত্রী হয়েছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। রাজনীতির পরিবেশ হলে তিনি অবশ্যই রাজনীতি করবেন।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া পলিটিক্স করবেন না, এটা তো কখনোই হতে পারে না। আওয়ামী লীগ নতুন করে কোনো জাল বিছাতে চাচ্ছে কিনা- বিএনপি এটা বুঝতে চাইছে। বিএনপির বোঝার এই চেষ্টাটা ঠিক আছে। বিএনপির নেতারা তারপর বুঝে যখন ক্লিয়ার হবে তখন বিএনপির পাশাপাশি আমরাও বলবো জোটের নেত্রী হিসাবে, যুগপৎ আন্দোলনের নেত্রী হিসাবে খালেদা জিয়া সামনে আসুক।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারবেন বলছে, সেই নির্বাহী ক্ষমতার বলে খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাস দিতে পারেন। সেই অথরিটি সরকারের আছে। কিন্তু তারা তা দিচ্ছেন না। সরকার আসলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয় হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা ব্যাপারে আলোচনা করেছি। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই ঘোষণা দিতে পারব।’